অনলাইন রিপোর্ট: বাংলাদেশে ভূমি রেকর্ড প্রকাশ মানেই যেন নতুন করে বিতর্ক ও মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। প্রকৃত মালিকদের অনেক সময় রেকর্ডে নাম না আসা এবং অন্যের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ভূমি মালিকদের আজীবন ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এসএ (সার্ভে অ্যাটেস্টেড) রেকর্ডে। সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) রেকর্ডকে তুলনামূলকভাবে নির্ভুল ধরা হলেও এসএ রেকর্ডে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এমনকি প্রকৃত মালিকের সব কাগজপত্র ও দলিল থাকা সত্ত্বেও রেকর্ডে তার নাম বাদ দিয়ে অন্যের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, অতীতে এনালগ পদ্ধতিতে রেকর্ড কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় ব্যাপক ভুল ও কারচুপি হয়েছে। এজন্য রেকর্ড সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি এবং মালিকানা সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে আদালতকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য, এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এসব মামলা নিষ্পত্তি করে মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা।
ভূমি বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনটি বড় কারণে এসএ রেকর্ড বাতিল বা অবৈধ হিসেবে ধরা হচ্ছে
১. রেকর্ডধারীর নাম সিএস রেকর্ডের প্রকৃত মালিক বা তার উত্তরাধিকারীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকা।
২. জমি ক্রয় বা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও রেকর্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া।
৩. উত্তরাধিকারীদের বঞ্চিত করে অতিরিক্ত জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেওয়া।
তাদের মতে, এসব ক্ষেত্রে সহজেই আদালতে মামলা করে প্রকৃত মালিকানা পুনরুদ্ধার সম্ভব।
তবে এসএ রেকর্ড নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, যাদের মালিকানার কাগজপত্র সঠিক ও ধারাবাহিকতা বজায় আছে তাদের এসএ রেকর্ড বহাল থাকবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যথাযথ প্রমাণপত্র ও দলিলপত্র থাকলে এসএ রেকর্ড এখনো বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমি রেকর্ড হিসেবেই গণ্য হবে।
সম্পাদক : রেহেনা পারভীন
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Dainik Aporadh Barta