বি,এম আলাউদ্দীন, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ইউপি সদস্য কর্তৃক (ভিডাব্লুবি) এর চাল পাচার করতে গিয়ে ছাত্র জনতার হাতে আটক হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউপি সদস্য শ্রাবন্তী বৈরাগী ছাত্র জনতার হাতে আটক হয়েছে। বড়দল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান সাগর, সহ-সভাপতি এস এম হাসান ও ছাত্রদল নেতা মিঠুন শিকারি জানান, বুধবার বেলা ১২টার দিকে বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে ইউপি সদস্য শ্রাবন্তী বৈরাগী ও জোসনা নামের এক মহিলা দুজনে মিলে (ভিডাব্লুবি) চাল গাড়িতে ওঠানোর সময় তাদেরকে আটক করা হয়। কার চাল, কোথায় যাচ্ছে, এমন প্রশ্ন করলে শ্রাবন্তী বৈরাগী বলে জোসনার (ভিডাব্লুবি) কার্ডের চাল। সঙ্গে সঙ্গে জোসনা নামক ওই ব্যক্তি বলে মেম্বার আমাকে বলেছে তাই আমি গাড়িতে উঠিয়ে দিচ্ছি। আমার নামে কোন কার্ড নেই। ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের কাছে চালটা জিম্মি রাখা হয়েছে এবং বিকাল ৪টার সময় স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদে বসে আপোষ মীমাংসার কথা ছিল কিন্তু বিকাল ৪টায় ওই অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়নি।
গ্রাম পুলিশ মোস্তাজুল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান হাজির না থাকায় চালটার অথরাইজ ছিল ইউপি সদস্য কে এম রকিবুজ্জামানের ওপর। তিনি মীমাংসার স্বার্থে বিকালে বসাবসির জন্য ডাকছিল। কিন্তু সেখানে ইউপি সদস্য হাজির হয়নি। তিনি আরো বলেন, হেতালবুনিয়া গ্রামের অমিও হালদারের স্ত্রী অঞ্জনা হালদারের নামীয় কার্ডের চাল ছিল। এ ব্যাপারে বড়দল ইউপির প্রশাসক চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক বিল্লাল বলেন, আমি প্রশাসনিক কাজে বাইরে আছি, পরিষদে না যেয়ে কোন কিছু বলতে পারছি না। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মহিলা ইউপি সদস্য শ্রাবন্তী বৈরাগী টাকার বিনিময়ে কার্ড দিয়ে থাকেন বলে স্থানীয়রা এ প্রতিনিধিকে জানান এবং অনেকের নামে কার্ড করে দিয়ে নিজেই চাল আত্মসাত করেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শ্রাবন্তী বৈরাগী সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আমি কার্ডধারীর উপকার করার জন্য গাড়িতে চাল উঠিয়ে দিয়েছি সাতক্ষীরাগামী বাসে। তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় আটককৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদে জমা আছে বলে জানা গেছে।